<![CDATA[
আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে নয়জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ শাহ আমানত, শাহজালাল হলের সামনে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দুপক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়।
মূলত ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বগিভিত্তিক সংগঠন সিএফসি নিয়ন্ত্রণ করে। আবার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু নেতৃত্ব দেয় সিক্সটি নাইনের। সভাপতির গ্রুপটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়রের অনুসারী।
পূর্বশত্রুতার জেরে ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করে আহত করে সিক্সটি নাইনের গ্রুপের এক কর্মী। পরে বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রক্টরিয়াল বডি ও হাটহাজারী মডেল থানা প্রশাসন এসে তা সমাধানের চেষ্টা করে।
ছুরিকাঘাতের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহজালাল হল এবং সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তাদের হাতে রামদা ও লাঠিসোঁটা দেখা যায়।
আরও পড়ুন: কী নিয়ে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগ?
সিক্সটি নাইন গ্রুপের অভিযোগ, তিন থেকে চার মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে সিট ধরা নিয়ে মির্জা প্রধান সফলের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল সিএফসি গ্রুপের মেহেদী হাসানের। পরে তারা এ ঘটনার সমাধান করেছিলেন। সোমবার দুপুরে কলাঝুপড়ি এলাকায় সফলকে একা পেয়ে দলবল নিয়ে মেহেদী তার ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে সফলকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এর কিছুক্ষণ পর আরেক ছাত্রলীগ কর্মীকে মেরে গুরুতর জখম করা হয়। এরপরই মূলত দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরাই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া। এ ঘটনায় দশজন আহত হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
]]>