অনলাইনে ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং অনেক বেশি বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন যোগ্যতা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সাররা বিদেশি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কাজ করে। কিন্তু বিদেশী অনেক ওয়েবসাইট বাংলাদেশ সাপোর্ট করে না। যার ফলে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের উপার্জন করা অর্থ নিজের হাতে পেতে অনেক কষ্ট হয়।

আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো বাংলাদেশ থেকে কোন কোন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে কাজ করা সহজ এবং পেমেন্ট পাওয়াটা মোটামুটি সহজ। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি…

১. ফাইবার: ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এর মধ্যে একটি হচ্ছে ফাইবার। ফাইবারের মধ্যে লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার কাজ করে। বাংলাদেশ থেকেও অনেক ফ্রিল্যান্সার ফাইবার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে।

ফাইবারে মূলত পোর্টফোলিও তৈরি করতে হয় এবং নিজে একটি গিগ তৈরি করতে হয়। আপনার গিগটি যদি ক্লাইন্টরা পছন্দ করে তাহলে তারা আপনাকে কাজ দিবে এবং সেই কাজের বিনিময়ে তারা আপনাকে পেমেন্ট করবে। সেই পেমেন্ট ফাইবারের ড্যাশবোর্ডে জমা হবে এবং সেখান থেকে আপনি সরাসরি পেয়েওনিয়ার এর মাধ্যমে বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকে অথবা বিকাশের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনি ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও পাবেন, সেখান থেকে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবেন।

২. আপওয়ার্ক: আপওয়ার্ক হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং জগতের জনপ্রিয় আরো একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে সাধারণত এডভান্স লেভেলের ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে। আপনি যদি ভালো কাজ জানেন তাহলে এই ওয়েবসাইটে কাজ করতে পারেন।

ফাইবারের মতো আপওয়ার্ককেও প্রায় একই সিস্টেমে কাজ হয়। ফাইবারে যেমন গিগ তৈরি করতে হয়, ঠিক তেমনি আপনারকে বিট করতে হয়। এখানকার টাকাও আপনি বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংকে নিয়ে আসতে পারবেন।

৩. পিপল পার আওয়ার: ফ্রিল্যান্সিং জগতে আরো একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে পিপলপার আওয়ার। আপনি যদি বিগেনার লেভেলের ফ্রিল্যান্সার হন তাহলে এই ওয়েবসাইটটি আপনার জন্য। তবে এখানে অনেক এডভান্স লেভেলের ফ্রিল্যান্সাররাও কাজ করে।

আপওয়ার্ক এবং ফাইবার এর তুলনায় ফ্রিল্যান্সাররা সবচেয়ে বেশি পিপল পার আওয়ার ওয়েবসাইটটিতে কাজ পেয়ে থাকে। তাই এটি আপনি ট্রাই করতে পারেন। এখানকার পেমেন্ট ও আপনি বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকে নিয়ে আসতে পারবেন।

৪. কাজখুঁজি: কাজখুঁজি হলো বাংলাদেশি একটি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটটিতে আপনি আপনার কাজ অনুযায়ী গিগ তৈরি করে কাজ পেতে পারেন। এই ওয়েবসাইটে কাজ করলে আপনি উপরের তিনটি ওয়েবসাইটের তুলনায় পেমেন্ট একটু কম পাবেন। তবে এখানকার পেমেন্ট সিস্টেম স্পেশালি বাংলাদেশীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

বাংলাদেশের যত ধরনের পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে প্রায় সবগুলো পেমেন্ট সিস্টেম এই ওয়েবসাইটটি সাপোর্ট করে। তাই এই ওয়েবসাইটটিতে কাজ করে দেখতে পারেন।

৫. গুরু ডট কম: বাংলাদেশীদের জন্য আরেকটি ফিন্যান্সিং ওয়েবসাইট হল গুরু ডট কম। এই ওয়েবসাইটটিতে মূলত ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে। একটি বড় সুবিধা হচ্ছে ক্লাইন্ট চাইলে একাধিক কাজের জন্য একজনকেই হায়ার করতে পারবে।

আপনি যদি বিগেনার লেভেলের ফ্রিল্যান্সার হন তাহলে এই ওয়েবসাইটটি আপনার জন্য পারফেক্ট। এই ওয়েবসাইটের টাকাও আপনি সরাসরি চাইলে ব্যাংকের আনতে পারবেন।

বন্ধুরা আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমি শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে কাজ করা সহজ এবং বিশ্বস্ত কিছু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানিয়েছে। এসব ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে আমাদের দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার কাজ করে। আপনি চাইলে এখানে কাজ করতে পারেন।

আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের কাজে আসবে। কোন প্রয়োজনে আমার ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন এবং আমার ফেসবুক পেজটি ফলো করে রাখতে পারেন। সেখানে আমি টেকনোলজি রিলেটেড বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করি।

সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

আমার ফেসবুক প্রোফাইল
আমার ফেসবুক পেইজ (NTS TREND)

The post বাংলাদেশের জন্য সেরা কিছু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট appeared first on Trickbd.com.

যারা আমার এই পোস্ট এর আগের পর্ব গুলো টি দেখেন নি তারা নিচের লিংক গুলো তে যেয়ে দেখে আসতে পারেন।

পর্ব ১

পর্ব ২

পর্ব ৩

গত পর্ব গুলোতে আমি আপনাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং এর কয়েকটি ভয়ংকর প্রতারণার দিক সম্পর্কে বিস্তারিত বলে ছিলাম। এই পর্বে আমি আরো কয়েকটি দিক সম্পর্কে জানিয়ে দিবো। এবং পোস্ট টি কমপ্লিট করে দেওয়ায় চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

গত পর্বে আমি ভালোমতো বুঝিয়ে দিয়েছিলাম যে কিভাবে আপনারা অধিকাংশ লোকজন ই ফ্রিলান্সিং সেক্টর এ প্রতারিত হয়ে যাচ্ছেন। এই পর্বে আমি জানিয়ে দিবো কিভাবে এই প্রতারিত লোকদের মধ্যে দিয়ে এদেশে প্রতিনিয়ত প্রতারক তৈরী হচ্ছে। আর হয়তো এই পর্বেই আমি আমার পোস্ট টি কমপ্লিট করে ফেলবো ইনশাআল্লাহ।

যদি গত পর্বের সাথে আপনার জীবনের মিল থেকে থাকে তাহলে ধরে নিলাম আপনি উক্ত কোর্স থেকে পরিপূর্ণ স্কিল ডেভলপ করতে না পারলেও আপনি এইটুক অন্তত শিখে নিয়েছেন যে তারা আপনাকে কিভাবে প্রতারিত করেছে। এবং সাধারণ ভাবে মানুষ কিভাবে কিভাবে প্রতারিত হয়ে থাকে।

যারা প্রতারিত হয়েছে তাদের মাথায় অনেক ভাবেই ঘুরপাক খাবে যে কিভাবে তার ফ্রিলান্সিং এ তার নিজের খরচ উঠিয়ে নেওয়া যায়।

সেখান থেকেই তারা শুরু করে তাদের নিজের প্রতারক ব্যাবস্থা। তারা নিজেরা নিজেদের মতো ফেসবুক পেজ গ্রুপ তৈরী করে নিবে খুবই আকর্ষণীয় ও মার্কেটিং রিলেটেড। আর এইসব গ্রুপের প্রতিটা পোস্ট ই থাকবে মার্কেটিং রিলেটেড। যা আপনাকে ফ্রিলান্সিং এ আগ্রহ প্রকাশ করতে বাধ্য করবে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা নিজেদের ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেল ও খুলতে ভুল করেন না। আর আপনাকে বেসিক কিছু শিখানোর যে পরিমাণ স্কিল প্রয়োজন হয় সেটা তারা ইউটিউব গুগল থেকেই শিখে নয়।

এবার তাহলে আপনার পালা। আপনি ও তাদের মতো বড়ো বড়ো বিজ্ঞাপন দেখবেন বড়ো বড় কোর্স কিনবেন। কোর্স শেষে আপনিও হবেন প্রতারিত।

তো এতক্ষন এ হয়তো আমি আপনাদেরকে ভালোমতই বুঝাতে পেরেছি যে কিভাবে ফ্রিলান্সিং এ এই প্রতারক চক্র টি কাজ করে। এইভাবে দিনের পর দিন মাসের পর মাস প্রতারক চক্র চলতেই থাকে আর মানুষ প্রতারিত হতেই থাকে।

আপনারা যদি এর থেকে বাঁচার উপায় চান বা সঠিক গাইডলাইন পেতে চান তাহলে অবশ্যই জানাবেন। আমি অবশ্যই পরবর্তী পোস্টে জানিয়ে দিব।

আর এই পোষ্টের আগামী পর্ব আসতে পারে আবার না ও আসতে পারে। আসলেও হয়তো এতে আপনাদেরকে প্রতারনা থেকে বাঁচার উপায় অথবা সঠিক গাইডলাইন আসতে পারে।

আজ তাহলে এই পর্যন্তই থাক। আপনারা সকলেই ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। আর আমার পরবর্তী পোস্ট টি কিসের উপর চান সেটি আমাকে জনিয়ে দিন কমেন্টে, জিমেইল এ, অথবা টুইটারে।
জিমেইল: [email protected]
Twitter: 1215maruf

The post ফ্রিল্যান্সিং করতে যেয়ে প্রতারিত হচ্ছেন না তো?(পার্ট-৪) appeared first on Trickbd.com.

যারা আমার এই পোস্ট এর আগের পর্ব গুলো টি দেখেন নি তারা নিচের লিংক গুলো তে যেয়ে দেখে আসতে পারেন।

পর্ব ১

পর্ব ২

গত পর্ব গুলোতে আমি আপনাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং এর কয়েকটি ভয়ংকর প্রতারণার দিক সম্পর্কে বিস্তারিত বলে ছিলাম। এই পর্বে আমি আরো কয়েকটি দিক সম্পর্কে জানিয়ে দিবো। এবং পোস্ট টি কমপ্লিট করে দেওয়ায় চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

গত পর্বে আমি আমার প্রতারিত হবার একটি ঘটনা শেয়ার করেছিলাম। এই পর্বে আমি তার পরের স্তর থেকে শুরু করছি।

তো অধিকাংশ কোর্স বিক্রেতাই আপনার থেকে কোর্স বিক্রি করে যাবে শুধুই টাকা কামানোর উদ্দেশ্যে। কোনো কোর্স শেষে আপনার স্কিল আপনাকে নিজেকেই তৈরী করে নিতে হবে।

এই স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর জন্য আপনাকে বছর এর বছর (সর্বনিম্ন 4000 ঘণ্টা) শুধুমাত্রই নিজের স্কিল ও প্রজেক্ট ডেভলপমেন্ট এর কাজে ব্যয় করতে হবে। তবেই তো আপনি হয়ে উঠতে পারবেন একজন প্রকৃত ফ্রিল্যান্সার।

আর কোর্স শেষে ভুলেও তাদের কাছে জানাবেন না যে আপনি কাজ পাচ্ছেন না।(মানে আপনি যদি জানান তাহলে) তাহলে তারা আপনাকে খুবই খারাপ ভাবে অপমান করবে। আপনাকে দূর্বল ঘোষিত করবে। এবং আপনি কাজ না পাওয়ায় সম্পুর্ণ দোষ টাই আপনার উপর চাপিয়ে দিবে।

যেমন টা আমার বেলায় ও হয়েছিল। তাছাড়া আপনি যদি বেশি ঝগড়া করার চেস্টা করেন তাহলে তারা আপনাকে ব্লক করে দিবে।

আমি আমার নিজের ব্যাপারে বললাম ই তাছাড়া এমন অনেক অনেক লোক আমাকে তাঁর এই প্রতারণার গল্প টি শেয়ার করেছে। যা পোস্টে লিখে বুঝানোর অনুমতি নেই। অথবা সম্ভব নয়।

আমার পোষ্টের সাথে আপনার গল্প মিলে গেলে ধরে নিবেন যে আপনি অলরেডি প্রতারিত হয়ে গেছেন। কম্পিউটার কিনলেন ইন্টারনেট কিনলেন কোর্স করলেন। কিন্তু কোনো টাকা ইনকাম করে পরিবার কর এখনও দিতে পারছেন না।

আর এই ফ্রিলান্সিং এ বেশিরভাগই থাকে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিারের সন্তান রা। আপনারা শুধুমাত্র খেয়ে পড়ে বাঁচার জন্যই কোর্স ইনরোল করে থাকেন। বাট আপনারাই হয়ে যান প্রতারণার শিকার।

আর আপনারা অনেকে এই প্রতারণার শিকার হয়েই একদিন হয়ে উঠেন প্রতারক।
সেটা কিভাবে হন তা না হয় পরের পোস্টেই বললাম।

আজ তাহলে এই পর্যন্তই থাক। আপনারা সকলেই ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। আর এই এই পোষ্টের পরবর্তী পর্বের জন্যে অপেক্ষা করুন। আর আমার পরবর্তী পোস্ট টি কিসের উপর চান সেটি আমাকে জনিয়ে দিন কমেন্টে, জিমেইল এ, অথবা টুইটারে।
জিমেইল: [email protected]
Twitter: 1215maruf

The post ফ্রিল্যান্সিং করতে যেয়ে প্রতারিত হচ্ছেন না তো?(পার্ট-৩) appeared first on Trickbd.com.

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন ট্রিকবিডি বাসী ? আশা করছি সবাই ভালো আছেন । আজকে হাজির হলাম ডিজিটাল মার্কেটিং খুঁটিনাটি” এর তৃতীয় পর্ব নিয়ে। আজকের আলোচনা হবে ডিজিটাল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রতিটা বিজনেসের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং থেকে কয়েক গুণ বেশি অডিয়েন্স পাওয়া সম্ভব এই ডিজিটাল মার্কেটিং এ। ডিজিটাল মার্কেটিং এ কম খরচে, স্পেসিফিক ভাবে যারা প্রোডাক্ট সম্পর্কে আগ্রহী বা নিয়মিত প্রোডাক্ট ক্রয় করে, তাদের কাছে পৌঁছানো যায়। ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাকসেস রেট যেমন বেশি তেমনি কম ব্যয় বহুল।

সকল ধরনের ব্যবসায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনেক তবে স্পেসিফিক ভাবে কিছু উপকারী দিক উল্লেখ করলে বলা যায় ।

1. আপনি তাদেরকে টার্গেট করতে পারবেন বা তাদের উপর প্রচেষ্টা চালাতে পারবেন যারা আপনার পণ্য ক্রয় করতে পারে বা এর আগে এমন পণ্য ক্রয় করেছে।

2. ডিজিটাল মার্কেটিং আউটবান্ড মার্কেটিং মেথড গুলো থেকে বেশ সাশ্রয়ী।

3. ইন্ডাস্ট্রিতে বড় বড় ব্র্যান্ড এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ করে দেয় এই ডিজিটাল মার্কেটিং।

4. ডিজিটাল মার্কেটিং পরিমাপ যোগ্য।

5. ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রেটেজি গুলো পরিবর্তন এবং মানিয়ে নেয়া সহজ।

6. ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার কনভারসন রেট এবং লিড কোয়ালিটি বৃদ্ধিতে দারুণ ভাবে সাহায্য করতে পারে।

7. বিজনেসের প্রতিটা ধাপে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অডিয়েন্সদের এনগেজ করতে পারেন।

১. অডিয়েন্স টার্গেটিং

আপনি যদি টিভিতে, ম্যাগাজিনে অথবা বিলবোর্ডে কোন বিজ্ঞাপণ দেন, সেটা কে দেখবে এই বিষয়টি আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। এটা ঠিক, আপনি একটি নির্দিষ্ট ডেমোগ্রাফিক এরিয়া বিবেচনা করে দেবেন, তবুও যাদেরকে বিজ্ঞাপনটি দেখাতে চাচ্ছেন তারা আসলেই দেখছে কিনা সেটাতে প্রশ্ন থেকেই যায়।

অপর পক্ষে আমরা যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কথা ভাবি, এর মাধ্যমে আপনি স্পেসিফিক ভাবে অডিয়েন্সদের টার্গেট করতে পারবেন। আগ্রহ, রুচি, লোকেশন, বয়স, এবং লিঙ্গভেদে অডিয়েন্সদের কাছে আপনি প্রোমোশন মেসেজ পাঠাতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের অডিয়েন্স রয়েছে। যারা প্রতিনিয়ত তাদের খাদ্যাভ্যাস, ভ্রমণ অভিজ্ঞতা, লাইফ-স্টাইল সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে শেয়ার করছে। আপনি তাদের কাছেও পৌছাতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়া বুস্টের মাধ্যমে যা ডিজিটাল মার্কেটিং এর অংশ।

তাছাড়া আপনি PPC এবং SEO স্ট্রেটেজির মাধ্যমেও বিজ্ঞাপণ রান করতে পারেন যা নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে আগ্রহী ব্যক্তির কাছে আপনার প্রোডাক্টকে পৌঁছে দেবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং আপনাকে অডিয়েন্স নিয়ে রিসার্চ করা এবং বায়ারদের পারসোনাল আইডেন্টিফাই করতে সাহায্য করবে। একই সাথে সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে প্রয়োজন মত স্ট্রেটেজি পরিবর্তনও করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি বড় টার্গেট অডিয়েন্স থেকে ছোট ছোট সাব-গ্রুপ টার্গেট করেও প্রোডাক্টের প্রোমোশন চালাতে পারবেন। যদি আপনার মাল্টিপল প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের বিজনেস থাকে তাহলে এটি নিঃসন্দেহে আপনার জন্য দারুণ হতে পারে।

২. ডিজিটাল মার্কেটিং আউটবাউন্ড মার্কেটিং মেথড গুলো থেকে বেশ সাশ্রয়ী

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন ক্যাম্পেইন গুলো ট্র‍্যাক করতে পারবেন এবং কত খরচ হচ্ছে, সেই তুলনায় ফলাফল আসছে কিনা জানতে পারবেন। যে চ্যানেলে আশা-বঞ্চক ফলাফল আসছে না সেই চ্যানেলের খরচ কমাতে পারবেন। এই সুবিধাটি আপনি কখনোই বিলবোর্ডের ক্ষেত্রে পারবেন না কারণ একবার বিলবোর্ড সেট করে ফেললে চাইলেও এটার খরচ কমবে না, সরিয়ে নতুন আরেকটা বসানোর আগ পর্যন্ত কোন পরিবর্তন করতে পারবেন না।

ডিজিটাল মার্কেটিং খরচ এর কন্ট্রোল থাকবে আপনার হাতে। ধরুন PPC ক্যাম্পেইনে আপনি ভাল ফলাফল না পেলে সেটা ত্যাগ করে ইন্সটাগ্রাম বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এড প্লেস করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার ভাল ডিজাইনিং সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।

সর্বোপরি, ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে সাশ্রয়ী একটি সমাধান, এবং আপনি আপনার অর্থের বা সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার এখানে করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার বাজেট কম থাকে বা আপনার বিজনেসের পরিধি ছোট হয় তাহলেও ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার জন্য সুযোগ রেখেছে। আপনি সোশ্যাল মিডিয়া, SEO, ব্লগে বিনিয়োগ করে ভাল রিচ পেতে পারেন।

এই তিন স্ট্রেটেজি ব্যবহার করে আপনি মিনিমাল স্পেন্ডে ভাল ROI পেতে পারেন।

৩. বড় ব্র্যান্ড এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ

ট্র‍্যাডিশনাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ছোট বিজনেস কোম্পানি গুলো চাইলেও বড় কোম্পানি গুলোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যেতে পারে না। এর কারণ বড় কোম্পানি গুলো যেখানে টেলিভিশন এ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে পারে সেখানে ছোট কোম্পানি গুলো চাইলেও পারে না। তবে এই দিক থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং ছোট কোম্পানি গুলোকে ভাল সুযোগ দেয় যেখানে বিচক্ষণ স্ট্রেটেজি অবলম্বন করে বড় কোম্পানি গুলোকেও বিট করা যায়।

আপনি চাইলেই আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড লং টেইল কিওয়ার্ড গুলো আইডেন্টিফাই করে, সেগুলোর উপর হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরি করে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারেন। আপনি খেয়াল করে দেখবেন কখনো কখনো কোন প্রোডাক্ট সার্চ দিলে বড় কোম্পানির আগে ছোট কোম্পানির রেজাল্ট আগে দেখায়।

সার্চ ইঞ্জিন গুলো সবসময় বড় ব্রান্ডকে কেয়ার করে না, সার্চ ইঞ্জিন দেখে কন্টেন্ট।

৪. ডিজিটাল মার্কেটিং পরিমাপ যোগ্য

ডিজিটাল মার্কেটিং পরিমাপযোগ্য। মার্কেটিং এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল মেট্রিক্স গুলো আপনি ট্র‍্যাক করতে পারবেন, সঠিক ফলাফল জানতে পারবেন। প্রতিটি ক্যাম্পেইন কত গুলো ইম্প্রেশন, শেয়ার, ভিউ, ক্লিক আসছে সব জানতে পারবেন। কোন ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন কিনা বুঝতে পারবেন। এটা ডিজিটাল মার্কেটিং এর বড় একটি সুবিধা আপনি কখনো ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এ পাবেন না।

ডিজিটাল মার্কেটিং, মার্কেটারদের রিয়েল টাইমে সঠিক রেজাল্টটি দেখাতে পারে। যেমন আপনি যদি পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপণ ছাপেন তাহলে কিন্তু জানতে পারবেন না কতজন সেই পেজ দেখেছে কত জন সেটি পড়েছে কিন্তু অনলাইন মার্কেটিং আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি সঠিক ভাবে ROI পরিমাপ করতে পারবেন। চলুন কিছু উদাহরণ দেখে নেয়া যাক।

ওয়েবসাইট ট্রাফিক

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি সহজেই জানতে পারবেন, কত জন আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে। জানা যাবে রিয়েল টাইমে এই মুহূর্তে কতজন রয়েছে। এটা জানতে সাহায্য করবে Google Analytics বা HubSpot এর মত প্ল্যাটফর্ম গুলো।

একজন ইউজার কত গুলো পেজ ভিজিট করছে কোন ডিভাইস ব্যবহার করছে, কোথা থেকে এসেছে এগুলোও জানা যাবে। আর এসব ডেটার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন কোন চ্যানেল থেকে বেশি অডিয়েন্স আসছে। কোন চ্যানেলে আপনার ইনভেস্টমেন্ট বাড়ানো উচিৎ। ধরলাম অর্গানিক সার্চ থেকে আপনার ট্রাফিক আসে মাত্র ১০% এর মানে হল আপনাকে SEO তে আরও ভাল ইনভেস্ট করতে হবে।

অফলাইন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এটা জানা অসম্ভব যে তারা কিভাবে প্রোডাক্টের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে বা প্রোডাক্ট কিনছে। তাদের সাথে সরাসরি কথা না বলে এটা জানা সম্ভব না কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং আপনাকে সেই সুযোগটা দিচ্ছে।

কন্টেন্ট পারফরম্যান্স ও লিড জেনারেশন

ধরুন আপনি অফলাইনে মার্কেটিং করছেন, নিজের ব্র্যান্ড প্রোমোশনের জন্য ক্রেতাদের লেটারবক্সে পণ্যের প্রচারপত্র পাঠালেন। যেহেতু এটা অফলাইন সেহেতু আপনি চাইলেও কিন্তু জানতে পারবেন না কতজন এটা খুলে পড়েছে আর কত জন ছুড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে।

একই বিষয়টা যদি অনলাইনে করা হয়? আপনি সহজেই জানতে পারবেন সেটা কতজন ডাউনলোড করছে, যে পেজে আপলোড করেছেন সেখানে কতজন ভিজিটর এসেছে ইত্যাদি। তাছাড়া আপনি যদি ডাউনলোড এর আগে ফর্ম সেট করে রাখেন তাহলে সেখান থেকে লিডও জেনারেট করতে পারবেন।

এন্ট্রিবিউট মডেলিং

উপযুক্ত টুল, টেকনোলজি এবং কার্যকর ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রেটেজি আপনার সেলকে স্ট্রেস করতে সহায়তা করবে। আপনি জানতে পারবেন কাস্টমাররা কোন ট্র‍্যান্ডকে ফলো করছে, কোন বিষয় গুলো ট্রেন্ডে আছে। এই বিষয়টিকে আমরা বলব এন্ট্রিবিউট মডেলিং।

এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কি কি বিবেচনায় নিয়ে কাস্টমাররা পণ্য ক্রয় করে, বিক্রয় বাড়ানোর জন্য কোন বিষয় গুলোতে পরিবর্তন আনতে হবে কোন বিষয় গুলোতে বেশি নজর দিতে হবে। সেলসের কোন সাইকেলকে আবার রিফাইন করতে হবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং এবং সেলসের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। Aberdeen Group, এর মতে যেসব কোম্পানি এই দুই বিষয়ে শক্তিশালী সমন্বয় রাখতে পেরেছে তারা বছরে ২০% এর বেশি গ্রোথ পেয়েছে। অন্যদিকে দুর্বল সমন্বয়ের জন্য ৪% পর্যন্ত বিজনেস কমে গেছে অনেক কোম্পানির।

৫. ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রেটেজি গুলো পরিবর্তন এবং মানিয়ে নেয়া সহজ

একটা সঠিক মার্কেটিং স্ট্রেটেজি তৈরি করতে অনেক সময় দিতে হয় এবং কাজ করতে হয়। স্ট্রেটেজি তৈরি করে সেটা বিজনেসে প্রয়োগ করতে হয়। তবে এটাও সব সময় ঠিক নয় যে সব স্ট্রেটেজি সঠিক ভাবে কাজ করবে এবং সব কিছু পরিকল্পনা মতই হবে। একটা ক্যাম্পেইন রান করার পর অডিয়েন্সের কাছে সেটা আকর্ষণীয় নাও লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা হল আপনি চাইলেই পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্ট্রেটেজি পরিবর্তন করতে পারবেন।

তাছাড়া ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর স্ট্রেটেজি পরিবর্তন করা বেশ সহজ। ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এ আপনি হুট করে একটা বিলবোর্ডের ডিজাইন চেঞ্জ করতে না পারলেও আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর এড ডিজাইন চেঞ্জ করতে পারবেন।

৬. কনভারসন রেট এবং লিড কোয়ালিটি বৃদ্ধি

ডিজিটাল মার্কেটিং, মার্কেটিং প্রচেষ্টা গুলো পরিমাপ করা সহজ করে দিয়েছে। সহজেই কনভারসন রেট বাড়ানোর জন্য কার্যকর স্ট্রেটেজি অবলম্বন করা যায়। প্রতিনিয়ত পারফরম্যান্স ট্র‍্যাক করে ক্যাম্পেইন পরিবর্তন করে এটিকে অধিক ফলপ্রসূ করে তোলা যায়। যার মাধ্যমে কনভারসন রেট বাড়ে এবং লিড জেনারেট হয়।

আমরা জানি সকল লিড সকল বিজনেসের জন্য কাজের না। দারুণ ব্যাপার হল ডিজিটাল মার্কেটিং আপনাকে হাই কোয়ালিটি লিড পেতে সাহায্য করবে যারা স্পেসিফিক ভাবে আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট নিয়ে আগ্রহী। আর এভাবেই সঠিক অডিয়েন্সের সাথে কানেক্ট হয়ে কনভারসন রেট বাড়বে এবং বিজনেসের গ্রোথ আসবে।

৭. বিজনেসের প্রতিটা ধাপে অডিয়েন্সদের এনগেজ করা

প্রতিটি বিজনেসের জন্যই টা গুরুত্বপূর্ণ, শুরু থেকে কাস্টমারদের এনগেজড করা। প্রথম থেকেই কাস্টমারদের কানেক্ট করতে পারলে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়। আর ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কাস্টমারকে কানেক্ট রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে আপনি কাস্টমারের পুরো ক্রয় জার্নি ট্র‍্যাক করতে পারবেন। আপনি জানতে পারবেন ঠিক কোন পদক্ষেপ গুলো নেয়ার পর বেশি লিড জেনারেট হচ্ছে, সেলস বাড়ছে। উপযুক্ত স্ট্রেটেজি নিয়ে আপনি চাইলে প্রতিটা স্টেজে অডিয়েন্সকে এনগেজড করতে পারেন।

Advertisement

Online Earning / Free Internet / Website যেকোনো Apps সম্পর্কে জানতে অথবা আপনার সমস্যা জানাতে আমাদের টেলিগ্রাম পেইজ এ যুক্ত হোন ।

Link 🖇 Click Here To Join With Us.

শেষ কথা

ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এখনো পুরোপুরি বাদ দেয়ার সময় আসে নি। তবে প্রোডাক্ট সার্ভিস বেধে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব নতুন করে বলার কিছু নেই। এমন অনেক প্রোডাক্ট আছে যেগুলো কেবল অনলাইন মার্কেটিং এর জন্যই উপযুক্ত।

আপনার বিজনেসের জন্য অবশ্যই অনলাইন এবং ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং উভয়ই গ্রহণ করতে পারেন তবে খেয়াল রাখতে হবে ভুল জায়গায় যেন অতিরিক্ত অর্থ অপচয় না হয়।

Source : Online & Others Website.

The post ডিজিটাল মার্কেটিং খুঁটিনাটি [ পর্ব-০৩ ] :: ডিজিটাল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ ? appeared first on Trickbd.com.

আসসালামু আলাইকুম , কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভালো আছেন। আজকে হাজির হলাম “ডিজিটাল মার্কেটিং খুঁটিনাটি” এর ৪র্থ পর্ব নিয়ে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে আপনি আপনার ব্র‍্যান্ড, কোম্পানি, এবং পণ্যকে বিভিন্ন ভাবে প্রমোট করতে পারবেন। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং। আজকে আমরা জনপ্রিয় এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত ডিজিটাল মার্কেটিং গুলো দেখতে চলেছি। বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে রয়েছে,

১. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
২. কন্টেন্ট মার্কেটিং
৩. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
৪. পে পার ক্লিক (PPC)
৫. এফিলিয়েট মার্কেটিং
৬. নেটিভ এড
৭. মার্কেটিং অটোমেশন
৮. ইমেইল মার্কেটিং
৯. অনলাইন পিআর
১০. ইন-বাউন্ড মার্কেটিং
১১. স্পনসর কন্টেন্ট
১২. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
১৩. ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং মার্কেটিং

১. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)

Search Engine Optimization কাকে বলে এ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই আপনারা সবাই আশাকরি কম বেশি জানেন। সহজ ভাবে বলতে গেলে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক করার প্রক্রিয়াই হচ্ছে SEO। এটি আপনার ওয়েবসাইট অর্গানিক ভাবে প্রচুর ট্রাফিক দিতে পারে। ওয়েবসাইট, ব্লগ, এবং ইনফো-গ্রাফিকের মত চ্যানেল গুলো সার্চ ইঞ্জিন অপমাইজেশন থেকে সুবিধা পেতে পারে।

কয়েকভাবে SEO করা যায় কয়েক ধরনের SEO রয়েছে। চলুন কয়েক প্রকার SEO দেখে নেয়া যাক।

On page SEO:

ওয়েবসাইটের দৃশ্যমান কন্টেন্ট গুলোকে নিয়ে যে SEO করা হয় সেটাই হল On Page SEO। নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড রিসার্চ করে, যে কিওয়ার্ডে বেশি সার্চ হয় এই সেই কিওয়ার্ড নিয়ে সুন্দর করে নিয়ম মাফিক কন্টেন্ট তৈরি করাই হল On Page SEO। কন্টেন্ট ভাল ভাবে উপস্থাপন করতে পারলে সার্চ ইঞ্জিন গুলো সেগুলোকে ভাল র‍্যাংকিং এ রাখে এবং রিডাররাও এ থেকে উপকৃত হয়। আর রিডার যখন উপকৃত হবে তারা বারবার আপনার ওয়েবসাইটে আসবে আপনার ব্র‍্যান্ড পরিচিত হবে।

Off page SEO:

এই SEO তে সকল কাজ করা হয় ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য। এটা মূলত ওয়েবসাইট এর অপটিমাইজেশন এর সাথে জড়িত। এই SEO তে কাজ হতে পারে ইনবাউন্ড আউট বাউন্ড লিংক না ব্যাক-লিংক তৈরি করা। নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের সাথে রিলেটেড পাবলিশার, ওয়েবসাইট কে লিংক করা। “Authority” লিংক তৈরি করা থেকে শুরু করে গেস্ট Post করা সব কিছুই Off page SEO এর অন্তর্ভুক্ত।

Technical SEO:

এই SEO মূলত ওয়েবসাইটের ব্যাকএন্ডের সাথে কনেক্টেড। কিভাবে আপনার ওয়েবসাইট কোড করা হয়েছে, ইমেজ কিভাবে কমপ্রেস করা হয়েছে, এবং এটি Structured data, CSS ফাইল অপটিমাইজেশনের সাথে জড়িত। ওয়েবসাইটে সব সময় ভাল কন্টেন্ট দিলেই হয় না, কন্টেন্ট গুলো অডিয়েন্স সহজ ভাবে পড়তে পারছে কিনা সেটার উপরেও র‍্যাংকিং নির্ভর করে।

২. কন্টেন্ট মার্কেটিং

একটি কোম্পানির ব্র‍্যান্ড এওয়ারনেস, ট্রাফিক বৃদ্ধি, লিড জেনারেশন এবং কাস্টমারদের আকৃষ্ট কর‍তে পরিকল্পিত ভাবে কন্টেন্ট তৈরি করাই হল কন্টেন্ট মার্কেটিং। মোট কথা কন্টেন্ট এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্র‍্যান্ডকে তুলে ধরা।

কয়েক ভাবে কন্টেন্ট মার্কেটিং করা যেতে পারে,

ব্লগ Post:

নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট বা কোম্পানি নিয়ে একটি আর্টিকেল অথবা ব্লগ Post, কাস্টমার তৈরি করতে পারে। ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের ক্রেতায় পরিণত করার সুযোগ করে দেয় এই ব্লগ Post। যেমন গরমে আরামদায়ক পোশাক নিয়ে একটি কন্টেন্ট লিখলেন এবং সেখানে আপনার ব্র‍্যান্ডের কিছু টি-শার্ট তুলে ধরলেন।

ই-বুক ও হোয়াইট পেপার:

ই-বুক, হোয়াইট পেপার অথবা বড় কোন কন্টেন্ট ওয়েবসাইট ভিজিটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। কখনো কখনো এগুলোর বিনিময়ে কাস্টমারদের ডেটা কালেক্ট করা সম্ভব হয়। যেমন কোন ই-বুক ডাউনলোড করতে কিছু তথ্য ভিজিটরকে দিতে হবে, এতে করে ভিজিটর যেমন ই-বুক পাবে তেমনি কোম্পানির লিড জেনারেট হবে।

ইনফোগ্রাফি:

কখনো কখনো ইনফোগ্রাফিকের মাধ্যমে আপনি ভিজিটরদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানাতে পারেন। বড় কন্টেন্ট না পড়ে কিছুক্ষণ চোখ বুলিয়েই ভিজিটররা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যেতে পারবে। তাছাড়া অডিয়েন্সরা কোন আর্টিকেল পড়তে তথ্য উপাত্ত পরিসংখ্যা দেখতে পছন্দ করে।

অডিও ও ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট:

টেলিভিশন, রেডিও কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ একটি চ্যানেল। অনলাইনে ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড করার মত রেডিও এর জন্য অডিও কন্টেন্ট বানিয়েও কিন্তু বিশাল কমিউনিটির কাছে পৌঁছানো যায়। রেডিও এর জন্য কন্টেন্ট গুলো অবশ্যই এমন ভাবে বানাতে হবে যেন অডিও শুনেই অডিয়েন্স মুল মেসেজটা বুঝতে পারে।

৩. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

বর্তমান সময়ে যেকোনো কোম্পানি বিশাল অডিয়েন্স এর মধ্যে পরিচিত হতে সোশ্যাল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্র‍্যান্ড এওয়ারনেস, ট্রাফিক এবং লিড জেনারেট করা সম্ভব।

আপনি সোশ্যাল মিডিয়া যেমন Facebook, LinkedIn এর মত প্ল্যাটফর্ম গুলোকে এক সাথে করতে HubSpot টুলটি ব্যবহার করতে পারেন। আপনি এই টুলের মাধ্যমে মাল্টিপল চ্যানেলের জন্য কন্টেন্ট শিডিউল করে রাখতে পারেন। একই সাথে সকল গুরুত্বপূর্ণ এনালাইটিক্স ও মনিটর করতে পারবেন।

HubSpot এর মাধ্যমে সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো এক জায়গাও নিয়ে আসা যায়, আপনি জায়গাতেই সবার মেসেজ পেয়ে যেতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনি নিচের প্ল্যাটফর্ম গুলো বেছে নিতে পারেন,

* Facebook
* Twitter
* LinkedIn
* Instagram
* Snapchat
* Pinterest

অনেক মার্কেটার আছে যারা এই প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে ভাইরাল ক্যাম্পেইন তৈরি করে। সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের সাথে এক হয়েও ব্র‍্যান্ডের প্রমোশন করা যেতে পারে এতে করে বিশাল একটা অডিয়েন্স এর কাছে ব্র‍্যান্ড সম্পর্কে মেসেজ পাঠানো যায়। তাছাড়া শেয়ার করার মত কোন কন্টেন্ট তৈরি করেও অর্গানিক ট্রাফিক পাওয়া যায়।

৪. পে পার ক্লিক

প্রতি এড ক্লিকের বিনিময়ে পাবলিশারদের পে করে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নেয়ার পদ্ধতি হচ্ছে Pay Per Click (PPC)। সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত Pay Per Click (PPC) হচ্ছে Google Ads। গুগলকে নির্দিষ্ট পেমেন্ট করে আপনি এডের জন্য স্লট কিনতে পারেন। আপনি চাইলে সার্চ ইঞ্জিন অথবা ওয়েবসাইট উভয় জায়গাতেই এড প্লেস করতে পারেন। গুগল ছাড়াও আরও কিছু চ্যানেলেও আপনি PPC ব্যবহার করতে পারেন।

ফেসবুক এড:

আপনি ফেসবুকে কাস্টমাইজ, ভিডিও, ইমেজ, Post করে পুরো প্ল্যাটফর্মে এড দিতে পারেন। অডিয়েন্স টার্গেট করে দিলে কেবল আপনার নির্দিষ্ট করা অডিয়েন্স গুলোই এড দেখতে পারবে।

টুইটার এড ক্যাম্পেইন:

টুইটারেও ইউজাররা স্পেসিফিক অডিয়েন্স টার্গেট করে এড রান করতে পারে। এখানে এড রান করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নেয়া, ফলোয়ার বাড়ানো, টুইটে এনগেজমেন্ট নেয়া এবং নির্দিষ্ট অ্যাপ ডাউনলোড করানো যায়।

LinkedIn এ স্পন্সর মেসেজ:

এই প্ল্যাটফর্মে ইউজাররা পে করে নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রি বা ব্যাকগ্রাউন্ডের অডিয়েন্সদের ডিরেক্ট মেসেজ পাঠাতে পারে।

৫. এফিলিয়েট মার্কেটিং

নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময়ে অন্যের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করাই হচ্ছে Affilite Marketing। এর মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইট বা যেকোনো প্ল্যাটফর্মে অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমোট করা যেতে পারে। তাছাড়া ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে এড হোস্ট করা, এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এফিলিয়েট লিংক Post করার মাধ্যমেও এই মার্কেটিং করা যায়।

এটি ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এ তুলনামূলক নতুন একটি মেথড। ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে ক্যাম্পেইন এফিলিয়েট মার্কেটিং এ দারুণ কাজ করতে পারে৷ উপযুক্ত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নির্বাচন আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এ নেক্সট লেভেলে নিয়ে যেতে পারে।

৬. নেটিভ এড

যেকোনো প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্টের সাথে মিল রেখে যে এড গুলো শো করানো হয় সেগুলোকে Native Advertising। ধরুন কোন নিউজ পেপারের কোন কন্টেন্ট আপনি পড়ছেন, নিচে এমন আরও কিছু নিউজের সাজেশন আছে, সেই সাজেশন গুলোতে নিউজের মতই এড শো করানো হতে পারে। ইউজাররা অনেক সময় বুঝতেই পারে না এটা কোন এড।

অনেকে সোশ্যাল মিডিয়া এডকে নেটিভ এড বলে। যেমন মেসেঞ্জারে কোন এড দিলে দেখবেন সেটাও চ্যাট হেডের মত গোল করে দেখায়।

৭. মার্কেটিং অটোমেশন

যখন ব্যাসিক মার্কেটিং অপারেশন গুলো কোন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হবে তখন সেটাকে মার্কেটিং অটোমেশন বলা হবে। কেউ কেউ এই কাজ গুলো ম্যানুয়ালি করে আবার অনেকে অটোমেটিকই করতে পছন্দ করে।

ইমেইল নিউজলেটার:

নিউজলেটারের মাধ্যমে কেবল অটোমেটেড ভাবে সাবস্ক্রাইবারদের ইমেইলই করা যায় না একই সাথে কন্টাক্ট লিস্টও বাড়ানো যায়। এর মাধ্যমে দ্রুত এবং কার্যকর ভাবে সাবস্ক্রাইবারদের মধ্যে অফার প্রমোট করা যায়।

সোশ্যাল মিডিয়া শিডিউলিং Post:

সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনই উচিৎ উপযুক্ত কন্টেন্ট শেয়ার দেয়া। ম্যানুয়ালি এই কাজটি করা অনেকের পক্ষে কঠিন হয়ে যেতে পারে তাই এখানে শিডিউলিং Post করা যেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া শিডিউলিং করার বিভিন্ন টুল রয়েছে যেগুলো আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ ব্যাপক ভাবে সহায়তা করতে পারে।

লিড কেন্দ্রিক ইমেইল:

লিড জেনারেট করা তারপর তাদের কাস্টমারে পরিণত করা বেশ সময় সাপেক্ষ হতে পারে। এই কাজটি অটোমেটেড করতে আপনি তাদের লিড স্পেসিফিক ইমেইল পাঠাতে পারেন। যেমন নির্দিষ্ট ফর্ম যারা ফিল-আপ করবে অথবা ই-বুক ডাউনলোড করবে তাদের কাছে নির্দিষ্ট মেইল চলে যাবে।

ক্যাম্পেইন ট্র্যাকিং এবং রিপোর্ট:

মার্কেটিং ক্যাম্পেইন ট্র‍্যাক করা খুবই জরুরি কারণ এতে করে বুঝা যায় ক্যাম্পেইন সফল হচ্ছে নাকি ব্যর্থ হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে আপনাকে মার্কেটিং অটোমেশন সাহায্য করতে পারে। আপনি নির্দিষ্ট টুলের মাধ্যমে জানতে পারবেন পারফরম্যান্স কেমন হয়েছে কোন ধরনের অডিয়েন্স কেমন আচরণ করছে। তাছাড়া যেকোনো ক্যাম্পেইন রান করার কয়েকদিনের মধ্যে সেটার পারফরম্যান্স চেক করা জরুরি। ইস্যু গুলো ফিক্স করে আবার ক্যাম্পেইন রান করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।

৮. ইমেইল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে কোম্পানি গুলো তাদের অডিয়েন্স এর যোগাযোগ করতে ইমেইল মার্কেটিং করে থাকে। ইমেইল মার্কেটিং এ মূলত কন্টেন্ট প্রোমোশন, অফার, ডিসকাউন্ট, এবং ইভেন্ট সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। বিভিন্ন ভাবে ইমেইল মার্কেটিং করা যেতে পারে,

1. ব্লগ সাবস্ক্রিপশন নিউজলেটার

2. যারা ওয়েবসাইট থেকে কিছু ডাউনলোড করবে তাদের জন্য ফলো-আপ ইমেইল

3. কাস্টমারদের জন্য ওয়েলকাম ইমেইল

4. লয়্যাল মেম্বারদের জন্য বিভিন্ন স্পেশাল অফারের ইমেইল

5. কাস্টমারদের জ্ঞাতার্থে বিভিন্ন টিপস মেইল

৯. অনলাইন পিআর

ডিজিটাল পাবলিশারদের মাধ্যমে অনলাইনে যথেষ্ট কভারেজ পাওয়ার উপায় হচ্ছে Online PR। আরও সহজ ভাবে বলতে গেলে অনলাইনে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে, ব্লগে, কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের মাধ্যমে নিজের কোম্পানির প্রচার। অনলাইন পাবলিক রিলেশন ট্র্যাডিশনাল পাবলিক রিলেশনের মতই তবে এটা হবে ইন্টারনেটে।

সোশ্যাল মিডিয়া রিপোর্ট:

টুইটার সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার জার্নালিস্টদের সাথে কথা বলা, তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক তৈরি করা উচিৎ। এতে করে আপনার কোম্পানি মিডিয়া কাভারেজের সুযোগ তৈরি হতে পারে।

অনলাইন রিভিউয়ে রিপ্লাই দিন:

যখন কোন কাস্টমার আপনার কোম্পানি সম্পর্কে কোন রিভিউ করবে, ভাল হোক খারাপ হোক অবশ্যই সেটার রিপ্লাই দিন। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করুন। এতে করে অডিয়েন্সরা আপনার ব্র‍্যান্ডের প্রতি সচেতন হবে।

টিউমেন্টে রিপ্লাই দিন:

রিভিউ এর মতই যারা আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের কন্টেন্টে টিউমেন্ট করবে তাদের টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন এতে করে অডিয়েন্স এনগেজমেন্ট আরও বাড়বে।

১০. ইনবাউন্ড মার্কেটিং

বায়ার জার্নির প্রতিটি ধাপে কাস্টমারদের আকর্ষণ করা, এনগেজড এবং সন্তুষ্ট করার পদ্ধতিই হল Inbound Marketing। আপনি উপরে আলোচনা করা সকল মেথড গুলোকে ইনবাউন্ড মার্কেটিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। মুল কথা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা যেখানে কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স তৈরি হবে যেখানে তারা বিরক্ত হবে না। ইনবাউন্ড মার্কেটিং এবং ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর পার্থক্য যদি দেই,

1. ব্লগিং vs. পপআপ এড

2. ভিডিও মার্কেটিং vs. কমার্শিয়াল এড

3. ইমেইল কন্টাক্ট লিস্ট vs. ইমেইল স্প্যাম

১১. স্পন্সর কন্টেন্ট

স্পন্সর এড সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। অন্য কোম্পানিকে পে করে নিজের কোম্পানির প্রোমোশন করা। স্পন্সর কন্টেন্ট বা এডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হচ্ছে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং। ইনফ্লুয়েন্সাররা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে তার অডিয়েন্স এর কাছে আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট প্রোমোট করতে পারে।

স্পন্সর কন্টেন্ট এর আরেকটা মেথড হচ্ছে ব্লগ Post বা আর্টিকেল। জনপ্রিয় ব্লগে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে আর্টিকেল লিখেও আপনার প্রোডাক্ট বা কোম্পানিকে প্রোমোট করা যায়।

১২. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং

যখন কোন ইউজার কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দেবে তখন সেখানে নিজের এড প্লেস করা হচ্ছে SEM বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং। যেকোনো কিছু সম্পর্কে সার্চ দিলে প্রথমেই কিছু রেজাল্ট দেখায় সেখানে ছোট করে ad লেখা থাকে, সেগুলোই হল SEM। সার্চ ইঞ্জিনে এড প্লেস করে ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব।

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি SEM সার্ভিস হচ্ছে Bings Ads এবং Google Ads। যেহেতু অর্গানিক সার্চের মতই এখানে এড এর রেজাল্ট গুলো দেখানো হয় সেহেতু এটাকে অনেকটা নেটিভ এডও বলা চলে।

১৩. ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং মার্কেটিং

আপনি চাইলে আপনার প্রোডাক্ট সরাসরি বিভিন্ন মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও প্রমোট করতে পারেন। এতে করে আপনি আপনার কাস্টমারদের ফ্ল্যাশ সেলস, নতুন প্রোডাক্ট, এবং বিভিন্ন অর্ডার সম্পর্কে সরাসরি আপডেট দিতে পারেন। আপনি চাইলে ফোনেও মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক মেসেঞ্জার, WhatsApp এর মত প্ল্যাটফর্ম গুলোও ব্যবহার করতে পারেন।

Advertisement

Online Earning / Free Internet / Website যেকোনো Apps সম্পর্কে জানতে অথবা আপনার সমস্যা জানাতে আমাদের টেলিগ্রাম এ যুক্ত হোন ।

Link 🖇 Click Here To Join With Us.

শেষ কথা

ডিজিটাল মার্কেটিং আপনাকে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রোমোট করার হাজারটা পথ তৈরি করে দেবে। আপনার ইন্ডাস্ট্রি এর জন্য যে মেথড উপযুক্ত আপনি সেটাই গ্রহণ করবেন। অডিয়েন্সদের রুচি চাহিদা সব সময় পরিবর্তনশীল তাই এটাও মনে রাখতে হবে সব সময় একই স্ট্রেটেজি অবলম্বন করা যাবে না।

এই পোস্টে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেরা এবং জনপ্রিয় টাইপ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হল, যেগুলো বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত হচ্ছে। আশা করছি ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনিও উপরের মেথড গুলো ব্যবহার করবেন।

কেমন হল পর্বটি জানাতে কমেন্ট করুন, পরবর্তী পোস্ট পর্যন্ত ভাল থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

Source : Online & Others Website.

The post ডিজিটাল মার্কেটিং খুঁটিনাটি [ পর্ব-০৪ ] :: ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন ধরন এবং উপায় 🔥 appeared first on Trickbd.com.

জিপি সীমে দুই ঘণ্টার জন্য আনলিমিটেড ইন্টারনেট মাত্র ২৩ টাকায়।
যারা জিপি সীম ব্যবহার করুন, তাদের জন্য দারুণ খবর।মাত্র ২৩ টাকায় পাচ্ছেন নিরবিচ্ছিন ইন্টারনেট বা ডাটা প্যাক।যেটা দিয়ে আপনি ইউটুউব, ফেসবুক সব কিছু ব্যবহার করতে পারেন।
ছোট করে মূল পর্বে চলে যাচ্ছি।এর জন্যে আপনাকে জিপি সীমে ২৩ টাকা রিচার্জ করতে হবে।অথবা ২৩ টাকা ব্যালেন্স থাকতে হবে।তবেই পাবেন, যদিও দুই ঘণ্টায় এতো এম্বি ইউজ করা সম্ভব নয়।তাও তো আনলিমিটেড।যা পারেন ডাউনলোড করতে থাকবেন।আপনার সীমে যদি ২৩ টাকা ব্যালেন্স থাকে, তাহলে *১২১*৩৩০৯# ডায়াল করুন।দেখুন নিচের স্ক্রিনশটের মতো।


তবে এটা যাদের এস.এম.এস এসেছে তারা পেতে পারেন।আবার সবাই পেতে পারেন।আমার দুইটা সীমে পেয়েছি।তার প্রুফ দিচ্ছি।তবে মাইজিপিতে আপনার এম্বি দেখাবে না।নিচের মতো শূন্য দেখাবে।

এছাড়া ৩৪ টাকায় ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত। তবে এই দুটি অফারে সর্বোচ্চ ৮ জিবি ব্যবহার করতে পারবেন।
এটা দিয়ে আপনি ডাউনলোডসহ সকল প্রকার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।

The post গ্রামীণফোন সীমে দুই ঘণ্টার জন্য আনলিমিটেড ইন্টারেনট (8 Gb Limited) appeared first on Trickbd.com.

আসসালামু আলাইকুম TrickBD এর সকল সদস্যগণ

কেমন আছেন সবাই, আশা করি সকলে ভালো আছেন

আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ,

তাই আজকে আবারো চলে আসলাম

নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে ,,,

বর্তমান সময়ে এশিয়া কাপ খেলা চলছে,,

পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের দর্শকরা

তাদের প্রিয় দলকে সাপোর্ট করছে এই সময়

এশিয়া কাপটা অনেক আবেগের একটা বিষয় ,,

সবাই সবার নিজেদের প্রিয় দল গুলোকে

জেতানোর চেষ্টা করছে আর এই এশিয়া কাপের ,,

আনন্দটাকে বাড়িয়ে তুলতে গ্রামীণফোন

একটি অফার ঘোষণা করেছে

আপনারা চাইলে মাই জিপি অ্যাপস ব্যবহার করে

কুইজ খেলার মাধ্যমে সুন্দর একটি উপহার পাবেন

যদি আপনার প্রিয় দল জিতে যায় তাহলে ,,

আপনি পেতে পারেন বাংলাদেশ দলের একটি সুন্দর Tshirt

এটা কিন্তু অনেকটাই সীমিত সময়ের ওপর নির্ভর করছে।

প্রতিদিন দুপুর ১২ঃ০০ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আপনারা কুইজ খেলতে পারবেন।

কুইজে যদি আপনি বিজয়ী হয়ে যান তাহলে আপনাকে ফোন কলের মাধ্যমে জানানো হবে।

খেলতে হলে প্রথমে এই স্ক্রিনশটগুলো ফলো করুন

প্রথমে এই লিংকে প্রবেশ করুন,,

কুইজ খেলতে ক্লিক করুন

প্রথমে যদি সমস্যা করে

ব্যাক করে আবার ক্লিক করুন

Click to play লেখাতে ক্লিক করুন

এইবার আপনার কাছে এমন পেজ আসলে সাইন ইন করুন

নম্বর ভেরিফাই করুন

এবার এখান থেকে কুইজ খেলতে থাকুন ,,

যদি আপনি ভাগ্যবান হয়ে থাকেন,

আর যদি আপনি জিতে যান তাহলে অবশ্যই

আপনাকে ফোন কল এর মাধ্যমে জানানো হবে

ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।

দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে,

নতুন কোন পোস্ট নিয়ে

ততক্ষণ সাথেই থাকবেন,,

(বি. দ্রঃ আমি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি সবাই একটু সাপোর্ট করবেন প্লিজ,,)

এই যে লিংক,,

আমার ইউটিউব চ্যানেল

The post My GP অ্যাপ এ এশিয়া কাপ কুইজ খেলে ফ্রী তে জিতে নিন বাংলাদেশ দল এর TShirt appeared first on Trickbd.com.

মোবাইল ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে এই প্রথম মেয়াদবিহীন ডেটা প্যাকেজ চালু করেছে দুই মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও টেলিটক। গত ২১-০৮-২০২২ (রবিবার) এ গ্রামীণফোন ও টেলিটক দুইটি ইন্টারনেট প্যাক চালু করে। যে কোনো দুইটি প্যাক এর মধ্যে ১টি ইন্টারনেট প্যাক কিনলে তার থাকবে না কোনো মেয়াদ life Time ব্যবহার করতে পারবেন যখন ইচ্চা তখন এবং যে কোনো স্থান এ.!

মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাক চালু করার দেশের সব সিম অপারেটর এর কোথা ছিলো কিন্তু বর্তমান দুইটি সিম অপারেটর চালু করেছে। দেশের সবচেয়ে বড় সিম অপারেটর গ্রামীণফোন এবং আরটি সরকারি সিম অপারেটর টেলিটক

Grameenphone Unlimited Internet Pack

প্যাক-১

৫৪৯ টাকায় (সকল চার্জ সহ) ১৫ জিবি ডাটা ক্রয় করতে পারবেন। মেয়াদ: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০৩৩ তারিখ পর্যন্ত। অফার ক্রয় করার জন্য মাইজিপি অ্যাপ এর অফার ট্যাব এর ইন্টারনেট সেকশন থেকে নিতে পারবেন। কুইক লিংক: https://mygp.li/sm_data_offer

প্যাক-২

১১৯৯ টাকায় (সকল চার্জ সহ) ৪০ জিবি ডাটা ক্রয় করতে পারবেন। মেয়াদ: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০৩৩ তারিখ পর্যন্ত। অফার ক্রয় করার জন্য মাইজিপি অ্যাপ এর অফার ট্যাব এর ইন্টারনেট সেকশন থেকে নিতে পারবেন। কুইক লিংক: https://mygp.li/sm_data_offer

Teletalk Unlimited Internet Pack

প্যাক-১

  • ৬ জিবি ১২৭ টাকায় ইন্টারনেট প্যাক টি নিতে রিচার্জ করুন সরাসরি ১২৭ টাকা বা ডায়াল করুন *১১১*১২৭#
  • ডাটা ব্যালেন্স জানতে ডায়াল করুন *১৫২#

প্যাক-২

  • ২৬ জিবি ৩০৯ টাকা
    ইন্টারনেট প্যাক টি নিতে রিচার্জ করুন সরাসরি ৩০৯ টাকা বা ডায়াল করুন *১১১*৩০৯#
  • ডাটা ব্যালেন্স জানতে ডায়াল করুন *১৫২#

যেকোনো প্রয়োজনে Facebook এ আমি..!!

বাংলালিংক সিমে ফ্রি 1.5GB নিয়ে নিন

ধন্যবাদ

The post গ্রামীণফোন ও টেলিটক সিমে এখন মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাক বিস্তারিত পোস্ট এ.! appeared first on Trickbd.com.

ইতিমধ্যেই NapstarnetV দিয়ে ফ্রি নেট চালানোর হিড়িক পড়ে গেছে। তবে যারা চালাতে পারছেননা, স্পিড স্লো কিংবা রুটেড ফোন তাদের জন্য নতুন সমাধান।

প্রথমেই বলে নিচ্ছি এই পোস্টের ক্রেডিট আমার নয়। JOYBD নামের একজন এই ফ্রি ইন্টারনেটের ক্রেডিট বহন করে।

প্রয়োজনীয় ফাইলঃ

প্রথমে অ্যাপটি ইনস্টল করে ” ” আইকনে ক্লিক করে Open Config অপশন থেকে Config টি ইমপোর্ট করে নিন।
picked
কনফিগের মেয়াদ ৭ দিন।
নিজে নিজেই ইন্সট্রাকশন ফলো করে কনফিগ আপডেট করতে পারবেন।
নিচেও Config Update Method এর স্ক্রিনশট সংযুক্ত করা হলো।
প্রথমে এই লিংকে যান।
এরপর Username, SNI/BUG host এ যা ইচ্ছা লিখুন এবং Create এ ক্লিক করুন।
picked
এরপর UUID টাই মেইন। এটা কপি করে নেন।
এরপর পুনরায় Http Custom অ্যাপ এ ঢুকে নিচের স্ক্রিনশটের মত করে ID চেঞ্জ করে দেন।
প্রথমে Plugin এ ক্লিক করেন।
picked
তারপর v2ray settings
picked
এই চিহ্নে ক্লিক করুন ”
picked
এবার ID এর ঘরে আগের কপি করা UUID টা বসান।
picked
কাজ শেষ।😇
এবার ব্যাক করে Connect করে চালাতে থাকুন।
৭ দিন পরপর নিজেরাই কনফিগ আপডেট করে নিবেন।
যদি কারো বুঝতে সমস্যা থাকে তবে ভিডিও দেখতে পারেন।
বিঃদ্রঃ রুট ইউজাররা রুট হাইড/Magisk Hide ইত্যাদি ইউজ করলেই হবে।
 

Speed Proof:

picked2picked
 
পোস্টটি কপি করলে অবশ্যই অরিজিনাল মেথড কার্টেসি যার প্রাপ্য তাকে দিবেন।
এই ট্রিক এবং কনফিগের কার্টেসি JOYBD বহন করে।
ভুঁইফোড় ইউটিউবার যারা আছেন তাদেরকে নিজের নামে ট্রিক চালিয়ে না দেবার অনুরোধ করা হলো। 
Spread Love💞♥

এছাড়াও নিত্যনতুন রেগুলার কনফিগ পেতে এবং সমস্যা হলে তা জানাতে জয়েন করুন টেলিগ্রাম চ্যানেলে।

Join us – Our Telegram Channel

The post সকল সিমে হাই স্পিড ফ্রি নেট HTTP CUSTOM দিয়ে [Free Internet 2022] [Working for both Root/Non-Root] appeared first on Trickbd.com.

যারা আগের দুইটি পোস্ট দেখেননি তাদের জন্যঃ

🔥HTTP Custom দিয়ে সকল সিমে হাই স্পিড ফ্রি নেট টিউটোরিয়াল।

🔥Napsternetv দিয়ে সকল সিমে হাই স্পিড ফ্রি নেট চালানোর টিউটোরিয়াল।

এবার আসি কনফিগ আপডেটে।

আপনারা জানেন যে বেশি ইউজার হয়ে যাওয়ায় কনফিগগুলো স্লো হয়ে যায়।

আর সবাই ওয়ার্কিং কনফিগ বানাতেও পারেননা। এজন্য এখন থেকে কনফিগ স্লো হয়ে গেলেই আপনারা নতুন কনফিগ পাবেন গ্রুপে কমেন্টে জানালে।

Napsternetv Configs Links: (Drive Links)

1. Napsternetv Fast Config🔥 [Root+Noon root✅]

2. Napsternetv config Fast🔥 V3🇧🇩 [Root + Non Root✅]

3. Napsternetv Config [Root/Non root both]

HTTP Custom Config Links: (Drive Links)

1. New Config for HTTP Custom🔥

2.Fast Config for HTTP Custom🔥

 

সব কনফিগের ড্রাইভ লিংক একসাথে-

All Files Gdrive Link

 

স্পিড প্রুফঃ

 

এছাড়াও নিত্যনতুন রেগুলার কনফিগ পেতে এবং সমস্যা হলে তা জানাতে জয়েন করুন টেলিগ্রাম চ্যানেলে।

Join us – Our Telegram Channel

The post [Regular Config Update] Napsternetv এবং HTTP Custom দিয়ে সকল সিমে আনলিমিটেড ফ্রি নেটের নতুন কনফিগ[Link Updated] appeared first on Trickbd.com.